পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের আনাগোনায় প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে খানসামা শিশু পার্কে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে ঈদের নামাজের পর দুপুর থেকেই এই বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় জমান বিনোদনপ্রেমীরা। এই শিশু পার্কটিতে হাজারও দর্শনার্থীদের ভীড় দেখা গেছে।

উপজেলা পরিষদ চত্বরের উত্তর পাশে মনোরম পরিবেশে উপজেলার মধ্যে প্রথম ও একমাত্র শিশু বিনোদন কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছিলেন (সাবেক) খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ মাহবুব-উল ইসলাম।

শিশুদের চিত্তবিনোদনে বিভিন্ন খেলনার পাশাপাশি মেধা বিকাশের নিমিত্তে পরিকল্পিতভাবে সাঁজানো এই শিশু পার্কটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতি দিনেই দর্শনার্থীরা ভিড় করে। সারা বছরের থেকে ঈদের সময় তুলনামূলক ভ্রমন পিপাসু মানুষদের উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। করোনা মহামারীতে গত দুই বছর ঈদের সময় পর্যটকের দেখা মেলেনি। কিন্ত এই বছর সরকারি ভাবে বিধিনিষেধ না থাকা সত্ত্বে বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় ঈদের দিনে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা বেশি দেখা যাচ্ছে।

শিশু পার্কটি ঘুরে দেখা গেছে, পার্কের ভিতরে থাকা দোলনা, রাউন্ড দোলনায় উঠে কেউবা তুলছেন সেলফি, কেউবা নিজ ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন নিজের মোবাইল ফোনে।

এছাড়াও পার্কের ভেতরে থাকা বিভিন্ন পশু পাখির সাথেও তুলেছেন ছবি ও সেলফি। এদিকে শিশুদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন দেখা যায়। এ সময় শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে শিশুপার্কটি। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেছে শিশুরা। শিশুদের সঙ্গে অনেক অভিভাবককেও আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়। শিশুদের শারিরীক ও মানষিক বিকাশে এই শিশু পার্ক। পার্কে শিশু ও দর্শনার্থীরা শুধু বিনোদন ও বেড়ানোয় নয়, হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন পশু-পাখির ছবির সাথে পরিচিত ও শিক্ষা গ্রহণও করতে পারবেন। আছে বিভিন্ন ধরনের খেলনাও। পার্ককে ঘিরে খানসামার শিশু ও অভিভাবকরা বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চত্তরের এ শিশু পার্কের বিভিন্ন স্থানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবাগ্রহীতাদের জন্য বক চত্বরসহ বসার জন্য টাইলস দিয়ে নির্মিত বেঞ্চও আছে।

উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা,কর্মচারী ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিনে এই শিশু পার্কটিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে, আর এই রকম দৃশ্য দেখতে বেশ মজাই লাগছে কিন্তু যার জন্য আজ এই শিশু পার্কটি হয়েছিল সেই মানবিক মানুষটি আজ এই উপজেলায় নেই; আজকের এই দিনে খানসামাবাসী সেই মানুষটিকে অনেক বেশি মনে করছে। দোয়া রাখি তিনি যেন যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন আর এই রকম ভাবে এলাকার শিশু সহ সকল ধরনের মানুষের জন্য এই রকম বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন।